ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। একদিকে বিমান হামলায় প্রাণহানি ঘটছে, অন্যদিকে চরম খাদ্য সংকট ও অপুষ্টির কারণে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে। শনিবার (২৬ জুলাই) গাজায় কমপক্ষে ৭১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪২ জন সাধারণ মানুষ ছিলেন মানবিক সাহায্যের অপেক্ষায়। আজ, রবিবার (২৭ জুলাই) ইসরায়েলি বাহিনী আবার গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলমান এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৫৯,৭৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ১,৪৪,৪৭৭ জন আহত হয়েছেন। এবং গত ২৪ ঘন্টায়, চরম খাদ্য সংকটের কারণে শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচজন ফিলিস্তিনি অপুষ্টিতে মারা গেছেন।
এরই মধ্যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে আসা আন্তর্জাতিক সাহায্য বহরের একটি জাহাজ 'ফ্রিডম ফ্লোটিলা' আটক করেছে। জাহাজের ২১ জন ক্রু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানবিক সাহায্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল নৌবহরটি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ লাজ্জারিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিমান থেকে ইসরায়েল যে সামান্য পরিমাণ সাহায্য নামাতে শুরু করেছে তা প্রহসন। গাজার মানুষ এখন অনাহারে। ইসরায়েলের উচিত এখনই স্থলপথ খুলে দেওয়া যাতে প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ প্রবেশ করতে পারে।
তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরু হয়। সেদিন ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করা হয়। তারপর থেকে, ক্রমাগত আক্রমণ, অবরোধ এবং মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে।
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন এবং অনেক দেশের সরকার এই ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে, কোনও কার্যকর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।