জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ। সোমবার (২৬ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। আজ চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে।
সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ২৮ আগস্ট শেষ হয়। ওই দিন তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী। একই প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন। রাজিবুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি
সাক্ষ্যগ্রহণের পর শেখ হাসিনা ও কামালের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আইনজীবী তাদের জেরা করেন। আমির হোসেন। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন। তার সাথে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহমেদ, প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার পালওয়ান এবং অন্যান্যরা। এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল মামলায় ছয়জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে।
২৮শে আগস্ট ষষ্ঠ দিনে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তারা হলেন- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক। হাসানুল বান্না এবং শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনাইদের মা সোনিয়া জামাল। ৭ই আগস্ট সাক্ষী হিসেবে সাক্ষী ছিলেন শহীদ আস-সবুরের বাবা মো. আনাব নাজাজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন।
৪ই আগস্ট চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তারা হলেন- সবজি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ, মিজান মিয়া, ছাত্র নাঈম শিকদার এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম। ৭ আগস্ট প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু এবং সাংবাদিক একেএম মইনুল হক। ৭ আগস্ট দিনমজুরদের গুলিতে পঙ্গু ছাত্র আবদুল্লাহ আল ইমরান এবং পারভীন চোখ হারান। ৭ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরু হওয়ার পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তারা শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের সহ পুলিশের বিচার দাবি করেন। এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায়ও প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অভিযুক্ত। তবে তিনি তার দায়িত্ব স্বীকার করে রাজপরিবারে পরিণত হয়েছেন।