পুলিশ জানিয়েছে, অন্য একটি গাড়িকে জায়গা দেওয়ার সময় পিকআপটি পাশে এসে পড়ে, তারপর কাভার্ড ভ্যানটি ভ্যানের পিছনে ধাক্কা দেয়।
চট্টগ্রাম শহরের গেট সংলগ্ন কালী হাট এলাকায় রাতে কভার্ট ভ্যানটি রেখে চালক ও তার সহকারী সকালে ওই রাস্তায় দ্রুতগতির একটি পিকআপকে ধাক্কা দেন। এতে পাঁচজন নিহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে, মাছ ব্যবসায়ীরা পিকআপে জেলে ছিলেন। সকালে তারা পিকআপ নিয়ে দ্রুতগতিতে পিকআপ নিয়ে পিকআপ চালাচ্ছিলেন। কিন্তু রাস্তায় অবৈধভাবে কভার্ড ভ্যানটি থাকায় তারা দুর্ঘটনার শিকার হন।
পিকআপের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। সামনের সিটে থাকা চালকসহ তিনজন নিহত হন। এবং ছয়জনের মধ্যে দুজন নিহত হন। আহত চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর পুলিশ নগরীর আকবর শাহ থানায় কাভার্ড ভ্যানের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হোসেন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ঘটনার কিছুক্ষণ আগে রাস্তার একটি বাঁক ছিল। মেঘনা গ্রুপের গুদামটি রাস্তার পাশে রাখা হয়েছিল।"
"ঘটনাটি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটে। মেঘলা আবহাওয়ার কারণে কিছুটা 'কুয়াশা' (কুয়াশা) ছিল। ঘটনাস্থলের রাস্তাটি কিছুটা সরু। কাভার্ড ভ্যানটি সেখানে থাকার কথা নয়। তবে চালক ও সহকারী রাস্তায় পড়ে আছেন।"
অফিসার বলেন, "সকালে মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে যে, ভালো মাছ কেনার আগে কে ফিশারিঘাটে যাবে। তাই গাড়িটি দ্রুত চলছিল।
"পিকআপটি অন্য পাশের অন্য একটি গাড়ির পাশে চলে যায়। তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যানটিকে ভ্যানের পিছনে ঠেলে দেওয়া হয়। পিকআপ ভ্যানটি কাভার্ড ভ্যানে ঢুকে পড়ে।"
তিনি বলেন, কাভার্ড ভ্যানের চালক এবং সহকারীকে আটক করার জন্য অভিযান চলছে।
দুপুরে পুলিশের সাথে দেখা করার সময় মেঘনা গ্রুপের এজিএম নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, "এখানে রাস্তার পাশে পার্কিং করা অবৈধ। আমাদের এখানে গাড়ি না রাখার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু রাতে গাড়ির চালক আমাদের রাস্তায় আসে।"
আকবর শাহ থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘটনার পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি বন্ধ করা হয়নি।
জেলেপাড়ায় শোক
সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ছলিমপুর ওয়ার্ডে নিহত হন রনি দাস (২৮), অজিত দাস (২৮) এবং অজিত দাস (২৮)। সোহাগ (৪২)।
তারা শহরের ফিশারিঘাট এলাকা থেকে মাছ কিনে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। সকালে মাছ কিনতে ফিশারিঘাট যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।
অজিত দাসের স্ত্রী টকি রানী দাস চট্টগ্রাম মেডিকেলে বিলাপ করছিলেন। তাদের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। ছোট মেয়েটির বয়স দুই বছর।
টকি রানী দাস বলেন, "ছোট মেয়েটি বাবা ছাড়া কিছুই বোঝে না। ঘুম থেকে উঠে সে তার বাবাকে খুঁজে পায়। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে কীভাবে থাকব, কীভাবে যাব?"
রনি দাসের মা রাজবালা দাস বলেন, "গত রাতে ছেলেটি মাছ ধরার কথা বলতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল।"
তিনি বলেন, রনি দাসের স্ত্রীর বয়স ছিল পাঁচ মাস।
নিহত জুয়েল দাসের বাবা গুপ্ত দাস বলেন, "রবিবার মনসার পূজার কারণে জুয়েল সারাদিন বন্ধুদের সাথে ছিল। জুয়েল সন্ধ্যায় বেরিয়ে আসছিল। আমি তাকে রাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে বলেছিলাম। রাতে ফিরে আসিনি।"
জেলেপাড়ার বাসিন্দারা জানান, নিহতদের পরিবারগুলি দরিদ্র। তারা সকালে মাছ কিনতে নিয়মিত ফিশারিঘাটে যেত। সেখান থেকে সে মাছ কিনে সকালে ফৌজদারহাট বাজার এবং অন্যান্য বাজারে বিক্রি করত।