চাকসু নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, "বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফুটেজ সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে দুটি করে মেডিকেল টিম থাকবে। ১৪ অক্টোবর থেকে কেউ পরিচয়পত্র ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। নির্বাচনের দিন, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য কেবল একটি পরিচয়পত্র ব্যবহার করা যাবে।"
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার বলেন, "আমরা শিক্ষার্থীদের সকল দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। নির্বাচনের দিন চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তবে আমাদের আসল শক্তি হলো শিক্ষার্থীরা। তাদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সারওয়ার্দী বলেন, "নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি প্রবেশপথের মধ্যে ৭টি বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। বহিরাগতদের প্রবেশ রোধে ২৪টি পয়েন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা বহিরাগত নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখব। প্রিসাইডিং অফিসারের অনুরোধ ছাড়া যে ভবনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে আমরা নির্বাচন করব না।"
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, "আমরা সকল প্রার্থীর ডোপ পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। এটি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে শাটল ট্রেনের সময়সূচী বৃদ্ধি করা হয়েছে, পাশাপাশি অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় সভাপতিত্ব করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. শামীম উদ্দিন খান, নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. তৈয়ব চৌধুরী, অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী বুধবার আবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৭,০০০, যার মধ্যে প্রায় ১১,৫০০ জন ছাত্রী।