ঢাকায় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, উভয় পক্ষই সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করছে।
নয়াদিল্লি:
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে, যা ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এই পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও বরফ গলানোর ইঙ্গিত দেয়, কারণ উভয় পক্ষ ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে ঠাণ্ডা সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছে।
রাষ্ট্রীয় রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, বুধবার ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এবং তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য চৌধুরী তার বাংলাদেশ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের পুলিশ প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য নকভিকে ধন্যবাদ জানান।
ক্রমবর্ধমান পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক
ঢাকায় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, উভয় পক্ষই সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করছে। ৮৪ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী ইউনূস, শেখ হাসিনার নীতির একজন কট্টর বিরোধী, যা মূলত ভারতপন্থী এবং পাকিস্তান বিরোধী ছিল।
পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব খুররম আগার নেতৃত্বে একটি যৌথ কমিটি গঠন করেছে। সেফ সিটি প্রকল্প এবং জাতীয় পুলিশ একাডেমি পরিদর্শনের জন্য শীঘ্রই একটি উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদ সফর করবে।
ভারতের উদ্বেগ
ইসলামাবাদের কর্মকর্তাদের ঢাকায় ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকারের ফলে বাংলাদেশে আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) এজেন্ট এবং অন্যান্য পাকিস্তানি গুপ্তচরদের চলাচল সহজতর হতে পারে। নয়াদিল্লির উদ্বেগ, বাংলাদেশে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বৃহত্তর উপস্থিতি বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী ইসলামপন্থী চরমপন্থার পুনরুত্থানের দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করতে পারে।
