জুলাইয়ের বিদ্রোহের সময় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসার জন্য আসা ১৭ জন আহত ব্যক্তির একটি পা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনের একটি হাত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলতে হয়েছিল।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ দেওয়া জবানবন্দিতে এই তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সিরাজুস সালেহীন।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষী হিসেবে সিরাজুল সালেহীন এই জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিরাজুল সালেহীন তার জবানবন্দিতে বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে আনা ব্যক্তিদের মধ্যে গত বছরের ১৯ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। বাকি ৬ জন অস্ত্রোপচারের পর মারা গেছেন। এছাড়াও, ৩ জন রোগীর একটি হাত কেটে ফেলতে হয়েছে এবং ১৭ জনের একটি পা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
ডাকসু নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রার্থীদের
মোদি যদি হাসিনাকে হত্যা করে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই: বদরুদ্দিন উমর