খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌরসভায় ১৪৪ ধারা জারির পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত। আজ রবিবার সকালে খাগড়াছড়ি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে জেলার কোথাও থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, গত রাতে সাজেকে আটকে পড়া দুই হাজারেরও বেশি পর্যটককে সামরিক নিরাপত্তায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল জুম্ম ছাত্র ও জনসাধারণের ডাকা সড়ক অবরোধের সময় খাগড়াছড়ির মহাজন পাড়া ও উপজেলা পরিষদ এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ এবং মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন, 'উভয় পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মোট ২৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে দুজনের চিকিৎসা চলছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, "শনিবার দুপুরের পর উপজেলা ইউএনও সংলগ্ন এলাকায় এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে ইটপাটকেল ছোঁড়া ও পাল্টা বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। পরে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে দুই বিক্ষুব্ধ পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি। আরও সহিংসতা রোধে আমরা কাজ করছি।"
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. হাসনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।