ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ প্রবাসীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে সন্দ্বীপ ও রাউজানে নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০:৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের মরদেহ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর তাদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহতদের মধ্যে সাতজনকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এবং একজনকে রাউজানে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহতরা হলেন সন্দ্বীপের সারিকৈত ইউনিয়নের আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, সাহাব উদ্দিন, মো. বাবলু, মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের মো. জুয়েল, রহমতপুরের মো. রনি এবং রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের ইউসুফের ছেলে আলাউদ্দিন।
শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাংচিংনু মারমা বলেন, "রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এনামনাহার মার সংলগ্ন পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাতজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাদের নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।" একইভাবে রাউজানের চিকদাইর গ্রামে আলাউদ্দিনকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, ৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় মাছ বোঝাই একটি বড় ট্রাক একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় সন্দ্বীপের সাত প্রবাসীসহ মোট আটজন নিহত হন।
মৃতদের পরিবার ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস, রাষ্ট্রদূত এবং ওমানি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দ্রুত মৃতদেহ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য।

